কি হবে যদি বাংলাদেশ ইলিশ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণ তুলে নেয়?

বাংলাদেশে ইলিশ উৎপাদনের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেছে, যা দেশের রপ্তানি আয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদি বাংলাদেশ সারা বছরের ইলিশ উৎপাদন প্রতি কেজি ১০ মার্কিন ডলারে রপ্তানি করে, তবে তারা উল্লেখযোগ্য আয় করতে পারে।

হিসাব:

  • বার্ষিক ইলিশ উৎপাদন: ৫৭১,০০০ মেট্রিক টন (বা ৫৭১,০০০,০০০ কেজি)
  • প্রতি কেজি রপ্তানি মূল্য: ১০ মার্কিন ডলার
  • সম্ভাব্য রপ্তানি আয়: ৫৭১,০০০,০০০ কেজি * ১০ মার্কিন ডলার/কেজি = ৫,৭১০,০০০,০০০ মার্কিন ডলার

এই হিসাব অনুসারে, বাংলাদেশ সারা বছরের ইলিশ উৎপাদন প্রতি কেজি ১০ মার্কিন ডলারে রপ্তানি করলে প্রায় ৫.৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করতে পারে। তবে, এটি একটি আনুমানিক হিসাব এবং প্রকৃত আয় বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করবে, যেমন বাজার চাহিদা, রপ্তানি খরচ এবং সরকারি নীতি।

ধরা যাক সমস্ত উৎপাদিত ইলিশের অর্ধেক বিদেশে রপ্তানি হল এর বাকি অর্ধেক দেশের বাজারে বিক্রি করা হল। সেক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ইলিশ রপ্তানি করে বছরে ২.৮৬ অর্থাৎ প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করতে পারত।

অন্যদিকে বাংলাদেশের ধুঁকতে থাকা অর্থনীতি ভারতের আদানি গ্রুপের কাছ থেকে আমদানি করা ১ বিলিয়ন ডলার এর বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করতে পারার কারনে আদানি গ্রুপ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি কমিয়ে দিয়েছে। যার ফলে সেখানে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে।

পরিশেষে বলা যায় বাংলাদেশের মোট ইলিশ উৎপাদনের মাত্র ৬ ভাগের এক ভাগ রপ্তানি করলেও আদানি গ্রুপের বকেয়া বিল পরিশোধ করা সম্ভব হত।

error: Content is protected !!
Scroll to Top