বাংলা ভাষা ভারতের পূর্ব অঞ্চলে ব্যাপকভাবে প্রচলিত একটি প্রধান ভাষা। এছাড়াও বাংলা ভাষাভাষীদের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাঙালি জনসংখ্যা এবং তাদের সাংস্কৃতিক অবদান উল্লেখযোগ্য। নিচে রাজ্যভিত্তিক বাঙালি জনবিন্যাস এবং তাদের সাংস্কৃতিক অবদান নিয়ে আলোচনা করা হল।
১. পশ্চিমবঙ্গ
- জনসংখ্যা: 9.1 কোটি
- শতাংশ: 83%
পশ্চিমবঙ্গ হচ্ছে ভারতের বাঙালির প্রধান আবাস। এখানে বাঙালিরা সাংস্কৃতিক, শিল্প, সাহিত্য এবং শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুকুমার রায়, এবং শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্ট সাহিত্যিকরা এখানকার গর্ব।
২. ত্রিপুরা
- জনসংখ্যা: 29.1 লক্ষ
- শতাংশ: 27%
ত্রিপুরায় বাঙালিরা মূলত হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্য। তাদের উৎসব, বিশেষ করে দুর্গাপূজা এবং বৈশাখী, রাজ্যের সংস্কৃতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
৩. আসাম
- জনসংখ্যা: 58.8 লক্ষ
- শতাংশ: 29%
আসামে বাংলাভাষীদের একটি বড় অংশ বাস করে। বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় বাঙালিরা কৃষি ও ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের খাদ্য সংস্কৃতি এবং গান-বাজনা আসামের সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির অবিচ্ছেদ্য অংশ।
৪. মিজোরাম
- জনসংখ্যা: 6.5 লক্ষ
- শতাংশ: 3%
মিজোরামে বাঙালিরা মূলত ব্যবসা এবং সরকারি চাকরিতে জড়িত। তাদের মিষ্টি পদের খাদ্য সংস্কৃতি স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মিশে গেছে।
৫. নাগাল্যান্ড
- জনসংখ্যা: 1.5 লক্ষ
- শতাংশ: 3%
নাগাল্যান্ডে বাংলা ভাষী সম্প্রদায়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তারা ব্যবসা ও শিক্ষায় বিশেষজ্ঞ।
৬. দিল্লি
- জনসংখ্যা: 23.1 লক্ষ
- শতাংশ: 8%
দিল্লিতে বাঙালিরা শিক্ষা, শিল্প এবং সংস্কৃতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। এখানে বিভিন্ন বাঙালি সংগঠন এবং উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
৭. মহারাষ্ট্র
- জনসংখ্যা: 16.3 লক্ষ
- শতাংশ: 5%
মহারাষ্ট্রে বাংলাভাষীদের অবদান মূলত সংস্কৃতি এবং শিল্পের ক্ষেত্রে। স্থানীয় ভাষার সঙ্গে তাদের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন উল্লেখযোগ্য।
৮. অন্যান্য রাজ্য
বাংলা ভাষী জনগণের সংখ্যা অন্যান্য রাজ্য যেমন রাজস্থান, কর্ণাটক, ওড়িশা, এবং তেলেঙ্গানাতেও রয়েছে। তাদের অবদানও এসব অঞ্চলের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যে উল্লেখযোগ্য।