দুদিন আগে কুয়েতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া ৪৫ জন ভারতীয়ের মৃতদেহ নিয়ে বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ বিমান কেরালায় অবতরণ করেছে। বিমান্তির পরবর্তী গন্তব্য দিল্লি।
কুয়েতে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মৃতদেহ দেশে আসার আগে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেছে কেরালা সরকার।
গোন্ডার সাংসদ কীর্তি বর্ধন সিং, যাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রকের জুনিয়র মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই কুয়েতে ছুটে যেতে হয়েছিল, তিনিও বিমানটিতে ছিলেন।
বুধবার কুয়েতের মাঙ্গাফ শহরের একটি ছয়তলা ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ৪৫ জন ভারতীয়। আবাসন সুবিধায় ১৭৬ জন ভারতীয় শ্রমিকের মধ্যে ৪৫ জন মারা গেছেন এবং ৩৩ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, দূতাবাস জানিয়েছে। বাকিরা নিরাপদে রয়েছে বলে জানা গেছে।
আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে
কেরালার ২৩ জন
তামিলনাড়ুর ৭ জন
উত্তরপ্রদেশের ৩ জন
ওড়িশার ২ জন
বিহারের ১ জন
পাঞ্জাবের ১ জন
কর্ণাটকের ১ জন
মহারাষ্ট্রের ১ জন
পশ্চিমবঙ্গের ১ জন
ঝাড়খণ্ডের ১ জন এবং
হরিয়ানার ১ জন
মিঃ সিং বৃহস্পতিবার কুয়েতে পৌঁছেছেন এবং পাঁচটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন যেখানে আহত ভারতীয় শ্রমিকদের চিকিৎসা করা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে দূতাবাস জানিয়েছে তাদের স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে ধীরে ধীরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
তার সফরের সময়, কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী শেখ ফাহাদ আল-ইউসুফ আল-সাবাহ-এর সাথেও দেখা করেন, যিনি তাকে মৃতদেহের দ্রুত প্রত্যাবাসনে পূর্ণ সমর্থন ও সহায়তার আশ্বাস দেন।
মন্ত্রী গতকাল বলেন, মৃতদেহগুলো মৃতদেহগুলো এমন ভাবে পুরে গিয়েছে যে তাদের চেনার উপায় নেই। তাই নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করতে তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ ৪৮টি মৃতদেহ শনাক্ত করেছে, যার মধ্যে ৪৫টি ভারতীয় এবং তিনজন ফিলিপিনো নাগরিক।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কুয়েতে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য ₹ 2 লাখ ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন।
কুয়েতের স্থানীয় প্রশাসন বিল্ডিংটিতে ১৬০ জনেরও বেশি লোক কীভাবে অবস্থান করছিল তাও তদন্ত করছে।