অং সান সু চি কেন সমালোচিত?
অং সান সু চি, যিনি বার্মার (মায়ানমার) গণতন্ত্র আন্দোলনের প্রতীক ছিলেন এবং একসময় নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী হয়েছিলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নানা কারণে সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন। মূলত তার সরকারের অধীনে রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে পরিচালিত মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণহত্যা তার ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
২০১৭ সালে, রাখাইন রাজ্যে সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক নির্যাতন চালায়, যার ফলে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নেয়। এসব কর্মকাণ্ডকে জাতিসংঘ “গণহত্যার অভিপ্রায়ে পরিচালিত” বলে আখ্যা দিয়েছে। সু চি নিজে মায়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেতা হিসেবে এই ঘটনার জন্য সরাসরি সামরিক বাহিনীর দোষ না দেওয়ার কারণে সমালোচিত হয়েছেন। তিনি আন্তর্জাতিক আদালতে মায়ানমারের পক্ষে সাফাই গেয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।
আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও বিদেশি সরকারের ব্যবস্থা:
- নোবেল কমিটি: অনেকের দাবি ছিল নোবেল কমিটি অং সান সু চিকে পুরস্কার প্রত্যাহার করবে। যদিও তা হয়নি, কিন্তু তাঁর সম্মান ও প্রতিষ্ঠা ক্ষুণ্ন হয়েছে।
- ইউরোপীয় ইউনিয়ন: ইইউ অং সান সু চিকে নিষিদ্ধ করেছে এবং তাঁর সম্পদ জব্দ করেছে।
- কানাডা: কানাডা সরকার অং সান সু চিকে নিষিদ্ধ করেছে এবং তাঁর সম্পদ জব্দ করেছে।
- যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্র সরকার অং সান সু চিকে নিষিদ্ধ করেছে এবং তাঁর সম্পদ জব্দ করেছে।
এছাড়াও অন্যান্য দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাও অং সান সু চির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এসব ব্যবস্থা রোহিঙ্গা সংকটে তাঁর ভূমিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর উদ্বেগের প্রতিফলন করে।
ডঃ ইউনুস কীর্তি
বলা বাহুল্য অর্থনীতিবিদ ডঃ ইউনুস কিন্তু অর্থনীতিতে নোবেল পুরষ্কার পান নি তিনি নোবেল পেয়েছেন শান্তিতে। যদিও তিনি কোন যুদ্ধ ধামিয়ে বা মধ্যস্থতা করে অথবা শান্তির বাণী ছরিয়ে নোবেল শান্তি পুরষ্কার পান নি। তথাপি তৎকালীন নোবেল কমিটি তাদের ব্যাখ্যায় বলেছিলেন যে ডঃ ইউনুস ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে মানুষকে স্বাবলম্বী করে শান্তি স্থাপনে পরোক্ষে ভূমিকা রেখেছেন। যদিও প্রশ্ন থাকে যে দারিদ্র্যই কি তাহলে সব যুদ্ধের মূল কারন? ধনীরা কি যুদ্ধ করে না বা জঙ্গিবাদের সাথে জড়ায় না?
বাংলাদেশে ডঃ ইউনুস যে সরকার চালাচ্ছেন সেই সরকারের নাকের ডগায় সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ন চলছে। এবার তো সব সীমা পার করে সামরিক বাহিনী সরাসরি হিন্দু নিধনে ঝাঁপিয়ে পরল। সব যেনেও তার নিরবতা জনমনে নানান প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তিনি কি সত্যি গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে দায়িত্ব নিয়েছেন? নাকি তার অন্য কোন অভিসন্ধি রয়েছে?
এবার দেখার বিষয় হল অং সান সু চির বিরুদ্ধে যেভাবে আন্তর্জাতিক মহল ব্যবস্থা গ্রহন করেছিল সেই ভাবেই কি ডঃ ইউনুস এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় কিনা।